অ্যাজটেক এবং মায়ান সভ্যতার সময়ে চিয়া সিড খাবার প্রচলন ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি চিয়া সিড রূপচর্চা করতে ব্যবহার করা হতো। এর অনেক ঔষধিগুণ আছে বলে বিশ্বাস করত অ্যাজটেক ও মায়ান আদিবাসীরা।

সে কারণে সাধারণ অসুখে চিয়া সিড খাবার প্রচলন ছিল তাদের মধ্যে।

এতে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।দিনে দুই চা চামচ চিয়া সিড শরীরের শক্তি দেয় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

  • প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে। মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি রক্তে চিনির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে।
  • হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়া সিড দারুণ কাজ করে। কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখতে কাজ করে বলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
  • চিয়া সিড শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনে। দূর করে অ্যাসিডিটির সমস্যা।
  • চিয়া সিড ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করেন চিকিৎসকরা। শুধু কি তাই! হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা কমায়। সুন্দর রাখে ত্বক, চুল ও নখ।
  • এতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা আমাদের দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ ভালো কাজ করে।
  • এতে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের সুস্থতার জন্য বেশ উপকারী এবং হার্ট অ্যাটাক সহ আরও বেশ কিছু রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • চিয়া বীজের এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • চিয়া সিডসের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের স্কিনের নিউ সেল জেনারেশনে হেল্প করে। তাই এটি অ্যান্টি এজিংয়ে ভূমিকা রাখে; স্কিনের প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস প্রিভেন্ট করে।
  • এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপারটিজ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। চিয়া সিড আমাদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। দেহ থেকে টক্সিক পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে ।

চিয়া সিড স্বাদ ও গন্ধবিহীন একটি খাবার। এটা খাওয়ার জন্য রান্না করারও দরকার হয় না। পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন।

চিয়া বীজ ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।